প্রিয় গ্যালাতিয়া,
আর ইচ্ছে নেই তোমায় জানতে! কেননা, বারবার তোমার ইচ্ছের কাছে আমি হেরেছি-
ঠিক যতটুকু দীপ্তিময় সূর্যের আলোর কাছে হারে শিশিরজল কিংবা চাঁদ আর নক্ষত্ররাজির কাছে রাতের অন্ধকার। ঠিক ততটুকুই আমি তোমার কাছে হেরেছি —
তোমার কাছে আজকাল আমার সব ইচ্ছেই যেন মূল্যহীন পণ্য নগরের চত্বরে সাজানো, অসংখ্য ক্রেতা অথচ তাদের দৃষ্টির বাইরে…
গ্যালাতিয়া, ভুল বোঝা-বুঝির নির্মম আগুনে আমার ইচ্ছেগুলো আর কত পোড়াবে?
আর আমিই-বা কতটুকু পুড়লে তুমি খুশি হবে?
যদি উত্তর দিতে- আমার ব্যথার পঞ্জিকায় লিখে রাখতাম।
তোমার দম্ভের পাল্লায় আমার ইচ্ছেগুলো এতটাই ওজনহীন আমার জানা ছিল না। তোমার মিথ্যে অভিমানের তীক্ষ্ণ তীরে আমার এ হৃদয় এতটা বিদীর্ণ হবে তাও জানা ছিল না।
যদি জানতাম তোমার কাছে একদিন আমি এতটা অস্পষ্ট হবো- তাহলে তোমার জন্য গচ্ছিত রাখতাম বুকের সবটুকু ঘৃণা।
গ্যালাতিয়া, বারবার আমি তোমার দম্ভের প্রাচীর টপকিয়েছি, জানতে চেয়েছি তোমায়।
তখন তুমি ছিলে নিরুত্তর! সেদিন এতটাই অভিমানের ঢেঁকুর তুলে ছিলে, তা আজ মনে নাই-বা করলাম। শুধু এতটুকু বলি এ হৃদয়ের গহীনে এখন অব্যক্ত ব্যথা জমেছে।
আমি আর পারছি না এর অন্তঃপুরের রহস্য ব্যক্ত করতে।
তুমি ভালো থেকো গ্যালাতিয়া, আমিও ভালো থাকতে চেষ্ট করছি।
আর হ্যাঁ, সুস্পষ্ট সত্য, যা না লিখলে নয়-
গ্যালাতিয়া, আমি না তোমাকে নিয়ে এখন আর ভাবিনা, যতটুকু ভাবি তোমার অবহেলা আর মিথ্যে প্রবঞ্চনা। আমার হৃদয়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তোমার চেয়েও তা বেশ আলোড়িত।
বিশ্বাস করো গ্যালাতিয়া তোমার কাছে হারতে হারতে আজ আমার সব ইচ্ছেই পথভ্রষ্ট। স্বপ্নরাও ব্যথাতুর, আর শান্তি! সে তো ট্রাফিক জ্যামহীন অধরা সময়ের হাত ধরে চলে গেছে অজানা গন্তব্যে—
আজও তোমার ইচ্ছেই হোক কার্যকরী।
আর ভালো থেকো তুমি, আমি ভালো থাকার মঞ্চনাটকে অভিনয়ে আছি।
ইতি-
-পিগম্যালিয়ন।
২৪.০২.২০১৮